মসলা হিসেবে পরিচিত হলেও শাহি-জিরা আসলে নানা ঔষধি গুণ সম্পন্ন। খাবারের স্বাদও গন্ধ বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অনেক সমস্যার সমাধানও করে শাহি-জিরা।পেটের বিভিন্ন অসুখ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতাও বাড়ায় শাহি-জিরা। সেই সঙ্গে অ্যাজমার সমস্যা কমায়, বাড়ায় ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য। শাহি-জিরার রয়েছে অনেক গুলো উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক শাহি-জিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে-
শাহি-জিরা খাওয়ার উপকারিতা
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় সমাধান দেয়
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় সমাধান দিতে পারে শাহি-জিরা। পেটে ব্যথা কমাতেও এটি দারুণ কার্যকরী। হজম ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে শাহি-জিরা। যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা দিনে তিন বার শাহি-জিরা দিয়ে তৈরি চা পান করবেন, এতে উপকার পাবেন। রাতে ঘুম ভালো না হলে তার প্রভাব শরীরে পড়বেই। সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকবে, কাজে মন দেওয়া যাবে না ঠিক ভাবে। অনিদ্রার সমস্যা দীর্ঘ দিন থাকলে এটি আরও অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। আপনারও এই সমস্যা থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চামচ চটকানো কলার সঙ্গে আধা চামচ শাহি-জিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন। শাহি-জিরা ও কলা এক সঙ্গে খেলে মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামে এক ধরনের কেমিক্যালের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই কেমিক্যাল ভালো ঘুমের ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
জ্বরের প্রকোপ কমায়
শাহি-জিরার আছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ যা ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের প্রকোপ কমাতে কাজ করে। এই প্রকৃতিক উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যে কারণে ফলে ভাইরাল ফিভারের প্রকোপ কমে। এক গ্লাস পানিতে এক চাচামচ শাহি-জিরা এবং সামান্য আদা মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানি ফুটিয়ে ছেঁকে নিন। সেই পানি দিনে ২-৩ বার পান করতে হবে। এতে জ্বর কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
শাহি-জিরায় আছে প্রচুর ফাইবার, যা অনেক গুলো এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শাহি-জিরা খেলে তা পাইলসের কষ্ট কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ ভাজা শাহি-জিরা গুঁড়া মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতে উপকার মিলবে।