Estimated Delivery
With 4 Days
মসলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয় দারুচিনি। খাবারে চমৎকার সুগন্ধ নিয়ে আসে এটি। পুষ্টিগুণের দিকে থেকেও বেশ এগিয়ে এই মসলা। ক্যালোরি, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস দারুচিনি। বিবিসিতে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে পুষ্টিবিদ জো লেউইন জানাচ্ছেন দারুচিনি খেলে কোন কোন উপকার মিলবে।
1. দারুচিনিতে পলিফেনল নামক উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে যার প্রতিরক্ষামূলক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ফলে দারুচিনি খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
2. দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে পারে দারুচিনি।
3. দারুচিনি অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এতে সিনামালডিহাইড নামক একটি উপাদান আছে যা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
4. ঠান্ডা-কাশি উপশম করতে সাহায্য করে এই মসলা।
5. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে দারুচিনি। এটি রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করে এমন গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
6. টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় দারুচিনির নির্যাস।
7. বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা কমে যায়। দারুচিনিতে দুটি যৌগ রয়েছে যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ধরে রাখতে কাজ করে। বলে আলঝেইমারের মতো অসুখের ঝুঁকি কমে।
8. নিয়মিত দারুচিনি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে দাবি করছে কিছু গবেষণা।
9. রক্তের ট্রাইগ্লিসারাইডের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে দারুচিনি। ফলে কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমে।
10. দারুচিনিতে প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই দারুচিনি নিয়মিত খেলে অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে হজমের সমস্যা দূর হয়।
11. এক প্রাণীজ গবেষণায় দেখা গেছে, দারুচিনির নির্যাস ক্যানসারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি কমাতে, টিউমারে রক্তনালীগুলির গঠন সীমিত করতে কার্যকর এই মসলা।
12. দাঁতের ব্যথা এবং মুখে ব্যাকটেরিয়ার অতিরিক্ত বৃদ্ধি এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধসহ অন্যান্য দাঁতের সমস্যা দূর করতে পারে দারুচিনি।