Estimated Delivery
With 4 Days
বাঙালি রান্নাঘরে ধনিয়া থাকেই। রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে এই মসলা ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু একাজেই নয়, অনেক অসুখ দূরে রাখতেও কাজ করে ধনিয়া। বর্তমানে অল্প বয়সেই অনেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টেরলের মতো নানা সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এসব অসুখ থেকে দূরে থাকতে হলে খেতে হবে উপকারী সব খাবার। ধনিয়া রাখতে পারেন সেই তালিকায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, ধনিয়া খাওয়ার উপকারিতা-
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে সেখান থেকে দেখা দিতে পারে আরও অনেক অসুখ। এর কারণে কিডনি, স্নায়ু, চোখের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। এক্ষেত্রে ধনিয়া রাখতে পারেন আপনার খাবারের তালিকায়। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান রডায়াবিটিস রোগীদের জন্য কার্যকরী। তাই রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ধনিয়া যোগ করুন আপনার প্রতিদিনের খাবারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ সুস্থ থাকতে হলে এবং রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা জরুরি। এতে নানা ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব। ধনিয়াতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে। তাই এই মসলা নিয়মিত খাওয়া উপকারী।
হার্টের জন্য উপকারীঃ বর্তমানে হার্টের রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে আশংকাজনক হারে। এই হার্টের অসুখে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অল্প বয়সেই প্রাণ হারাচ্ছেন। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, উচ্চ রক্তচাপ ও ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ধনিয়া। তাই এই মসলা খেতে হবে নিয়মিত। এতে হার্টের অসুখ থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারীঃ মস্তিষ্কের নানা সমস্যায় উপকার করে ধনিয়া। বর্তমানে অনেকেরই অ্যালঝাইমার্স বা পার্কিনসনস ডিজিজ দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে বয়স কিছুটা বাড়লেই এই সমস্যাগুলো বেড়ে যায়। এই অসুখগুলো আমাদের জীবনযাত্রার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত খেতে পারেন ধনিয়া। ধনিয়ার রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ। এটি মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
পেটের জন্য ভালোঃ নিয়মিত ধনিয়া খাওয়া পেটের জন্যও উপকারী। ধনিয়া খেলে কোলোনের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। যে কারণে গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। এই মসলার বিভিন্ন গুণ সংক্রমণের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়। শরীর সুস্থ রাখতে এই নিয়মিত ধনিয়া খান।